শিশুদের শ্বাসকষ্টঃ কি করবেন?
বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছে। আগের চেয়ে মৃত্যু হার কমে গেছে। তবে, সব ক্ষেত্রে ঘটনা এক রকম না। শিশুর শ্বাসকষ্ট এখনো আমাদের জন্য বড় সমস্যা। এর নানারকম কারণ আছে। এর মধ্যে শিশুর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি থাকে। একটা গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে সকল বাচ্চা হাসপাতালে ভর্তি হয় তাদের প্রায় দুইতৃতীয়াংশ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে আসে। সাধারণ সর্দি কাশি যেমন থাকে তেমন আরো মারাত্বক কিছু রোগ শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসে। এগুলোকে অবহেলা করা শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
শিশুদের শ্বাসকষ্টের কারণগুলো কি কি?
এর মধ্যে সবচেয়ে কমন রোগগুলো হলো-
১। নিউমোনিয়া (pneumonia)
২। ব্রঙ্কিওলাইটিস (bronchiolitis)
৩। এজমা (asthma)
৪। ক্রুপ (croup)
৫। যক্ষা (TB or tuberculosis) ইত্যাদি।
এছাড়া হার্ট ফেইলুর (Heart failure)এর কারণেও শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস নিয়ে আলোচনা করবো কারণ এগুলোই সবচেয়ে কমন।
প্রবন্ধের নির্দিষ্ট একটি অংশ পড়তে চাইলে নিচের তালিকা থেকে নির্বাচিত করুন নতুবা পড়তে থাকুনঃ
শ্বাসকষ্ট আছে কিনা কিভাবে বোঝা যায়?
শ্বাসকষ্ট থাকলে শিশু ঘন ঘন শ্বাস নেয় এবং একই সাথে অনেক সময় বুকের নিচের দিকটা শ্বাস নেয়ার সময় দেবে যায়। তীব্রতা খুব বেশি হলে নখ
নিউমোনিয়া (pneumonia) শ্বাসকষ্টের প্রধানতম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তবে, সবক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের কারণ এটা নাও হতে পারে। কাজেই, শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক সঠিক রোগটি নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিলে শিশু ভালো থাকবে।
যদিও সাধারণভাবে মানুষ শ্বাসকষ্ট বলতে শুধু নিউমোনিয়াই বোঝে।
নিউমোনিয়া (pneumonia)
নিউমোনিয়া(pneumonia) কেন এত গুরুত্বপুর্ণ?
কারণ, ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু মারা যায় নিউমোনিয়ায় (৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২৮% মারা যায় নিউমোনিয়া থেকে)। সঠিক সময়ে নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে যেমন বাচ্চা সহজেই সুস্থ্য হয়ে উঠে, একইভাবে দেরি করার কারণে জটিলতা তৈরি হয় এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নিউমোনিয়া থেকে কি কি জটিলতা (complications) তৈরি হতে পারে?
- বুকে পানি জমে যাওয়া (pleural effusion)
- বুকের মধ্যে পুজ জমে যাওয়া (Lung abscess)
- হার্ট ফেইলুর (Heart Failure)
- মস্তিষ্ক ঝিল্লির প্রদাহ (meningitis)
- রক্তের ইনফেকশন (septicaemia)
নিউমোনিয়ার (pneumonia) এর কারণ কি?
ফুসফুসের সংক্রমণকে নিউমোনিয়া বলে। বিভিন্ন জীবানুর (যেমন- ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস) সংক্রমণ থেকে হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে টিউবারকুলোসিস (tuberculosis) একটা।
ব্যাকটেরিয়াঃ
- Streptococcus pneumoniae
- Mycoplasma pneumoniae
- Group B Streptococcus
- Gram-negative enteric pathogens
- Chlamydia trachomatis
- Ureaplasma urealyticum
- Bordatella pertussis
- Mycobacterium tuberculosis
ভাইরাসঃ
- Coronavirus
- Measles virus
- Metapneumovirus
- Adenovirus
- Influenza
- Parainfluenza
- Rhinovirus
- RSV (Respiratory syncytial virus)
এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে (যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম- HIV, cystic fibrosis রোগী) Pneumocystis jirovecii দিয়েও নিউমোনিয়া হতে পারে।
কাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়?
অল্প বয়সের শিশুদের নিউমোনিয়া বেশি হয়। আবার একই সাথে বয়স কম হলে নিউমোনিয়া বেশি তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
অপুষ্টি(malnutrition)। অপুষ্টির শিকার শিশুর দেহে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল কম থাকে। ফলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে। ফলে সহজেই নিউমোনিয়া হয়ে যায় এবং হয়ে গেলে তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার (Immunedeficiency disorder) – severe combined immunodeficiency
হাম (measles)- হামের জীবানু নিজে নিউমোনিয়া করতে পারে। একই সাথে এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ফলে অন্য জীবানুগুলোও নিউমোনিয়া করতে পারে।
জন্মগত হ্রদপিন্ডের ত্রুটি (congenital heart disease) যেমন- VSD, ASD, PDA ইত্যাদি।
ঘন বসতি (একই ঘরে বেশি লোক অবস্থান করা) – একজনের শ্বাসপ্রশ্বাস ও স্পর্শের মাধ্যমে জীবানু ঘরের বাকীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে কিভাবে বুঝবো? নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি?
নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট সাধারণত তীব্রতা বেশি বেড়ে গেলে তৈরি হয়। এছাড়া খাওয়া কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, দুর্বল হয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যাও থাকতে পারে। এছাড়া অনেক সময় বুকে ব্যথাও হতে পারে। যদি অক্সিজেনএর মাত্রা কমে গেলে হাত-পা- ঠোট- জিহবা নীল হয়ে যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, শ্বাসকষ্টের কারণ যাই হোক না কেন এর ফলে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। কাজেই, শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে অতিদ্রুত একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাবেন।
নিউমোনিয়া আছে কিনা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়?
অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখে এবং শারীরিক পরীক্ষা করেই চিকিৎসক বুঝতে পারেন বাচ্চার নিউমোনিয়া আছে। তবে, অনেক সময় শুরু বর্ননা শুনে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে বোঝা সম্ভব হয়ে উঠেনা। ঐ ক্ষেত্রে চিকিৎসক পরীক্ষা (Test) করাতে পারেন। সাধারণত, বুকের এক্সরে এবং রক্তের পরীক্ষা (complete blood count) করানো হয়। তবে, বাচ্চার মধ্যে থাকা লক্ষণের উপর নির্ভর করে অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানোর প্রয়োজনও হতে পারে।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা কি? বা, শিশুর নিউমোনিয়া আছে মনে করলে কি করবেন?
নিউমোনিয়ার মুল চিকিৎসা এন্টিবায়োটিক। যদিও ভাইরাস দিয়ে নিউমোনিয়া হতেও পারে। তবে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার অবস্থার অবনতি হতে পারে। একই সংগে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট বেশি হলে খাওয়াদাওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়ে অক্সিজেন, শিরাপথে স্যালাইন দেয়া এবং নেবুলাইজ করার প্রয়োজন হতে পারে (সাধারণ মানুষ অনেক ক্ষেত্রে নেবুলাইজ করাকে ‘গ্যাস দেয়া’ বলে থাকে)। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা অক্সিজেন দেয়া ও নেবুলাইজ করাকে একই জিনিস মনে করতে পারে।
নেবুলাইজ করার সময় সালবিউটামল (আমাদের দেশের বাজারে Windel নামে পাওয়া যায়)। এর সাথে অনেক ক্ষেত্রে ইপ্রাট্রপিয়াম ব্রোমাইড নামে অন্য একটা ঔষধ মেশানে থাকে (Windel Plus/sulprex)। এছাড়া আরো ঔষধ আছে যেগুলো দিয়ে নেবুলাইজ করা যায়। বাচ্চার শ্বাসকষ্টের উপর নির্ভর করে সাধারণত চিকিতসক ঔষধ নির্ধারণ করেন। তবে, Windel Plus সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
নিউমোনিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসা কি হতে পারে?
নিউমোনিয়া একদম যদি একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। মুখে খাওয়ার এন্টিবায়োটিক, নেবুলাইজেশন, ও আরো কিছু ঔষধের মাধ্যমে। কিন্তু সাধারণভাবে এটা বোঝা যায় না। একজন চিকিৎসকই বলতে পারবেন।
নিউমোনিয়া কি প্রতিরোধ করা যায়? যদি যায় তাহলে কিভাবে?
হ্যা। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। টিকা দেয়ার মাধ্যমে। বাংলাদেশের শিশুদের Hemophilus influenzae, Streptococcus pneumoniae দিয়ে নিউমোনিয়া বেশি হয়ে থাকে। একারণেই আমাদের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসুচির আওতায় এই জীবানুগুলোর বিরুদ্ধে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। ফলে, এদের দ্বারা হওয়া নিউমোনিয়া ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। Tuberculosis এর জীবানুর দ্বারাও নিউমোনিয়া হতে পারে যেটাকে বিসিজি ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
অন্যদিক, SARS CoV2 দ্বারা হওয়া নিউমোনিয়াকে প্রতিরোধ করার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই এই টিকাগুলোও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠবে।
২। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমেও কিছু নিউমোনিয়াকে আমরা ঠেকিয়ে দিতে পারি। বিশেষ করে করোনাভাইরাসকে ঠেকানোর জন্য এটা একটা খুব কার্যকর পদ্ধতি।
৩। অপুষ্টির চিকিৎসা করা। বা পুষ্টি বজায় রাখা। বিশেষ করে যে বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ নিয়ম অনুযায়ী পান করে তাদের নিউমোনিয়া কম হয়।
ব্রঙ্কিওলাইটিস (bronchiolitis)
ব্রংকিওলাইটিস শিশুদের (২ বছরের কম বয়সী) শ্বাসকষ্টের খুব কমন একটা কারণ। বাংলাদেশে যে বাচ্চাগুলো হাসপাতালে আসে তার মধ্যে নিউমোনিয়ার চেয়ে ব্রংকিওলাইটিসের রোগী বেশি থাকে। তবে, অনেক সময় ব্রঙ্কিওলাইটের সাথে পরবর্তীতে নিউমোনিয়াও হতে পারে (জটিলতা হিসেবে)।
কাদের বেশি ব্রঙ্কিওলাইটিস (bronchiolitis) হয়ে থাকে?
- স্বল্প জন্মওজনের বাচ্চা
- যে বাচ্চাগুলোকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় নাই
- পরিবারের কেউ যদি ধুমপান করে (passive smoking)
- ঘরের বায়ুদুষণ (indoor air pollution)
- একই ঘরে এক সাথে বেশি লোক বসবাস করা
- নিচু আর্থসামাজিক অবস্থা
কিসের কারণে ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়?
কিছু জীবানুর দ্বারা বেশি ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষেত্রে Respiratory Syncitial Virus (RSV) দিয়ে ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণএর মধ্যে রয়েছে Influenza, para influenza, human metapneumovirus. কখনো কখনো Mycoplasma দিয়েও হতে পারে।
ব্রঙ্কিওলাইটিস(bronchiolitis)-এ কি ঘটে?
ব্রঙ্কিওল বা bronchiole (ফুসফুসের ভিতরের চিকন চিকন নালি থাকে) গুলোর ভিতরটা আরো চিকন হয়ে যায় এবং বাতাস ঢুকতে পারে না। ফলে শিশুর-
- কাশি
- শ্বাসকষ্ট
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে বাশির মত শব্দ হওয়া ইত্যাদি দেখে দেয়।
তীব্রতা বেশি হলে ঠোট, নাকের অগ্রভাগ, আঙ্গুলের নখ নীল হয়ে যেতে পারে।
কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতে পারে?
ব্রঙ্কিওলাইটিসের জন্য বাচ্চার চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা (CBC), বুকের এক্সরে করাতে পারেন। তবে, সব ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
কি চিকিৎসা করা হয়?
সাধারণ চিকিৎসাঃ
- বাচ্চার মাথা উপরের দিকে রাখতে পারলে ভাল হয়
- স্যালাইন দিয়ে তুলা দিয়ে ভিজিয়ে নাক পরিষ্কার করা যেতে পারে
- কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যেতে পারে বা শরীর মুছে দেয়া যেতে পারে
মুল চিকিৎসা?
- অক্সিজেন (Humidified oxygen): মৃদু ক্ষেত্রে অক্সিজেন জরুরি হয় না। তবে, তীব্রতা মাঝারি, বেশি হলে অক্সিজেন দরকার হয়।
- পানিশুন্যতা প্রতিরোধ করাঃ বাচ্চা ঘন ঘন শ্বাস নেয়ার কারণে দ্রুত পানিশুন্যতা তৈরি হতে পারে। এজন্য ঘন ঘন অল্প অল্প করে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
- পুষ্টি বজায় রাখাঃ শিশু একবারে বেশি খেতে পারবে না। এজন্যেই ঘন ঘন অল্প অল্প করে বুকের দুধ ও অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হবে।
অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি কখনো কখনো প্রয়োজন হতে পারে।
কিভাবে ব্রঙ্কিওলাইটিস (bronchiolitis) প্রতিরোধ করা যায়?
- প্রত্যেক শিশুর বয়স ছয় মাস (০৬) কের দুধ খাওয়ানো। এবং ২ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি বাড়তি খাবার খাওয়ানো।
- নিয়মিত, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া
- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধুমপান (ঘরের অন্য কেউ ধুমপান করা) বন্ধ করা
এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো জানতে চাইলে আমাদের লিখতে পারেন। নিচের ফর্মটি ব্যবহার করুন।
শিশুদের আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ সমস্যা হলো পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া। এ সম্পর্কে পড়তে এখানে ক্লিক করুন – শিশুর পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়াঃ কি করবেন?
ডাঃ ফাহিম আহমাদ ২০০৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী দুই বছরের অধিক সময় গ্রামে কাজ করার পর শিশু রোগ সম্পর্কে উচ্চতর পড়াশুনা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এমডি(শিশু) শেষ করার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এয় জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক্স) হিসেবে কর্মরত আছেন।
শ্বাস কষ্ট
প্রশ্নটা পরিষ্কার হলো না। অনুগ্রহপূর্বক বিস্তারিত লিখুন।