থ্যালাসিমিয়া রোগীর খাবার নিয়ে সব সময়ই চিন্তা থাকে, রোগী এবং তার বাবা-মায়ের। এটা বাংলাদেশের সাধারণ খাবারগুলো একটা তালিকা। এই তালিকা অনুসরণ করে চললে আশা করি রোগী ভালো থাকবে।
যে সমস্ত খাবারে অধিক পরিমাণ লৌহ (High Iron Diet) আছে, সেই সমস্ত খাবার অবশ্যই পরিহার করবে এবং যে সমস্ত খাবারে কম পরিমাণ লৌহ ( Low Iron Diet) আছে, সেই সমস্ত খাবার খেতে হবে। তাই থ্যালাসিমিয়া রোগীরা কোন ধরনের খাবে তা নীচের খাদ্য তালিকা থেকে কম লৌহ যুক্ত খাবার বেছে নিবে।
খাদ্য সামগ্রীর নাম
১। মাংস ও মাংস জাতীয় খাদ্য
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
গরুর মাংস, খাসীর মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, ইলিশ, কৈ, চিংড়ি, চিতল, শিঙি, টেংরা ও ছোট মাছের শুটকি।
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
রুই, কাতল, পাংগাস, বোয়াল, মাগুর, সরপুঁটি, সোল ও বাচা মাছ।
২। শাকসবজি
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, পুইশাক, ফুলকপি শাক, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, ফুলকপি, সিম, বরবটি, মটরশুঁটি, কাঁকরোল, কাচা পেপে, সাজনা, কাচা টমেটো।
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু, করলা, মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, মূল্য, শালগম, কাচা কলা, ঝিংগা, পাকা টমেটো, লাউ, চাল কুমড়া।
৩। ফল
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
আনারস, বেদানা, শরিফা, খেজুর, তরমুজ
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
পাকা আম, লিচু, কলা, পাকা পেপে, কমলালেবু, বেল, জামরুল, আমলকি, কাগজী লেবু, পেয়ারা, আংগুর।
৪। খাদ্য শষ্য এবং তা থেকে তৈরী খাবার
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
খৈ, কর্ণ ফ্লেক্স (Corn Flakes), শিশু খাদ্য যেখানে লৌহ সংযুক্ত করা আছে যেমন- সেরিল্যাক(cerelac), গরু/ছাগলের দুধ (cow & goat milk) ইত্যাদি
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
চাল, ময়দা, পাউরুটি।
৫। ডাল
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
ছোলা, ছোলার ডাল
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
মসূর ডাল
৬। বিবিধ
অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
গুড়, বাদাম (almonds), চীনাবাদাম, কিসমিস, তিল, পান, জিরা, ধনে, সরিষা
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
মধু, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যথা- দই, ছানা, পনির, রসগোল্লা ইত্যাদি।
থ্যালাসিমিয়া রোগীর খাবার এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডাঃ ফাহিম আহমাদ ২০০৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী দুই বছরের অধিক সময় গ্রামে কাজ করার পর শিশু রোগ সম্পর্কে উচ্চতর পড়াশুনা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এমডি(শিশু) শেষ করার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এয় জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক্স) হিসেবে কর্মরত আছেন।
Thanks for information
আমার শশুরের ব্লাড কাউন্ট ৪..উনার থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে।উনার বয়স ৫৯..তো উনার জন্য কি কি খাবার ব্লাড কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করতে পারে?
ব্লাড কাউন্ট ৪ বলতে কি বুঝিয়েছেন পরিষ্কার না। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৪গ্রাম/ডিএল বুঝিয়ে থাকেন তাহলে প্রথম কাজ হবে দ্রুত তার শরীরে রক্তকনিকা পরিসঞ্চালনের ব্যবস্থা করা (packed cell)। এরপর তার চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে বাকী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
আমি একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী
আমার প্রশ্ন হলো গরুর মাংসে আয়রন বেশি থাকে গরুর পায়ে ও কি বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে।
আমার ক্যালসিয়াম ঘার্তি পুরোনে খেতে পারি কী গরু বা ছাগলের পাল।
গরুর পা তো আর খাওয়া যায় না। আমরা খাই মজ্জা। এবং মজ্জাতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে।
দয়া করে জানাবেন, থ্যালাসিমিয়া হলে কি ছেলেদের মুসলমানি করতে কোন সমস্যা।
না। থ্যালাসেমিয়ার (beta thalassaemia, HbE disease, HbE beta thalassaemia etc) বাচ্চাদের মুসলমানি করাতে কোন সমস্যা নেই।
তবে, হিমোগ্লোবিনোপেথি (Sickle cell disease etc) এর কোন কোনটাতে সমস্যা হয়। এগুলোও থ্যালাসেমিয়ার মত। এবং অনেক সময় না বুঝে থ্যালাসেমিয়া বলা হয়। সবচেয়ে ভালো হবে আপনি একজন সার্জনকে দিয়ে মুসলমানি করাবেন এবং তার সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে নিবেন। আশাকরি কোন সমস্যা হবে না।
Cam I take advice from you
অবশ্যই। আপনি কোথায় থাকেন?
আসসালামু আলাইকুম। স্যার, আমার ভাইয়ের বয়স ১২ বছর, ২ মাস আগে পরীক্ষার পর ওর HB E-bita থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। ৩ মাস আগে হিমোগ্লোবিন 6 হয়ে যাওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শে ২ ব্যাগ ব্লাড দিয়েছি। এখন হিমোগ্লোবিন 6.9 হয়ে গেছে, এখন কত ব্যাগ ব্লাড দিতে হবে? আর এই রোগের প্রতিকার কী? কীভাবে ব্লাড দেওয়া ছাড়া সুস্থ হওয়া যাবে?
ওয়ালাইকুমুসসালাম। এক ব্যাগ হলেই হওয়ার কথা। আপনার ভাইয়ের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুণ। এই রোগ সম্পুর্ণ প্রতিকার করতে হলে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করতে হবে। এভারকেয়ার হাসপাতাল, আজগর আলী হাসপাতালে এই সার্ভিস দেয়া শুরু হয়েছে। বিস্তারিত সেখানে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত আমার প্রবন্ধগুলো পড়তে পারেন
https://healthnetbd.com/thalassemia-treatment/
https://healthnetbd.com/thalassemia-food-splenectomy/
https://healthnetbd.com/thalassemia-prevention/
রোগীর নাম : শাকিরিন
থ্যালাসেমিয়ার ধরন:
ই-বেটা থ্যালাসেমিয়া
ধরা পড়েছে গত ১০ বছর আগে
এখন তার বয়স ১২
তার ওজন ৩০ কেজি
১০ বছর থেকেই তার হিমোগ্লোবিন 8 এবং 9 এর মাঝে থাকে। এই দশ বছরে তাকে একবারও রক্ত দেয়া হয় নাই যেহেতু একটা নিয়ম আছে সেভেন (হিমোগ্লোবিন)এর নিচে আসলে রক্ত দিতে হয়।
এক্ষেত্রে এই রুগীটির যদিও কখনো সেভেনের নিচে আসে নাই কিন্তু অতি সম্প্রতি তার হিমোগ্লোবিন লেবেল নেমে ৭.৮ এসে দাঁড়িয়েছে।
সে হাইড্রনিক্স প্রতি সপ্তাহে চারটি এবং ফলিসন প্রতিদিন একটি করে খাচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ
তার ফেরিটিন ২২০ ছিল যা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মত।
এক্ষেত্রে ফেরিটিন যেহেতু কম সেক্ষেত্রে আইরনসমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাইয়ে তার হিমোগ্লোবিন লেভেলটা সামান্য হলেও ইনক্রিজ হবে কিনা ?এটাই প্রশ্ন!
উত্তর পেলে খুবই উপকৃত হব
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনার রোগীকে আয়রন আছে এমন খাবার দেয়া যাবে না। কারণ, তার হিমোগ্লোবিন কম রোগের কারণে আয়রণের অভাবে না। আপনি তার চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করুন। যদি হিমোগ্লোবিন কম থাকার কারণে তার বৃদ্ধি (ওজন, উচ্চতা, মনোযোগ, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি) ব্যহত হয় তাহলে তার রক্ত পরিসঞ্চালন লাগতে পারে।
আলহামদুলিল্লাহ আপনার উত্তর পেয়ে খুবই উপকৃত হইলাম যদিও মেসেজটা আমি দেরিতে দেখেছি। তাই আমিও দেরি করে জাযাকাল্লাহু খাইর দিতে দেরি করে ফেললাম।
আসসালামু আলাইকুম’ স্যার আমার ভাই মোঃ মশিউর রহমান তার বয়স ১৭ বছর সে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী তার রোগ ধরা পরেছে ২০০৯ সালে তবে এ রোগের কোন সমাধান আছে
ওয়ালাইকুমুসসালাম। এ রোগের সাধারণ চিকিৎসা নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন করে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা। এবং রক্তে আয়রন যেন বেড়ে না যায় সেজন্য নিয়ম মোতাবেক খাবার ও ঔষধ সেবন করা। বয়স কম হলে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লেন্টশনের মাধ্যমে নিরাময়ও সম্ভব হয়। আপনি তাকে নিয়ে একজন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ বা হেমাটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
আসসালামু আলাইকুম
স্যার আমার মেয়ের বয়ষ ১১মাস তার রক্তে র পয়েন্ট ৭.২আচে এখন কি করনীয়
ওয়ালাইকুমুসসালাম। শুধু রক্তের পরিমাণ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগ থাকলে এক্ষেত্রে লোহিত রক্তকনিকা (Red Cell Concentrate RCC) দিতে হবে। এছাড়া অন্য ক্ষেত্রে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া যায়। আপনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
কত বছর বয়স থেকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লেন্টশন করা যায়,জানাইলে উপকৃত হবো?
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন কম বয়সে করতে পারলেই ভালো। শরীরে বেশি আয়রন জমা হয়ে গেলে ঠিকভাবে কাজ করে না। সবদিক বিবেচনা করে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কখন করতে হবে সেটা ডাক্তাররা নির্ধারণ করেন। আপনি যে সেন্টারগুলোতে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লেন্টেশন হয় সেগুলোতে খোজন নিতে পারেন। বেসরকারিভাবে এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম, আসগর আলী হাসপাতালে হচ্ছে। এছাড়া বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা (পিজি হাসপাতাল)-এ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে। এই সেন্টারগুলোতে গিয়ে খোজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম আমার মেয়ের পনেরো মাস বয়স বিটা থ্যলাসেমিয়া মেজর, একবার রক্ত দেয়া হইছে, কখন রক্ত দিতে হবে কিভাবে বুঝবো? আর কত বছর বয়স থেকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লেন্টশন করা যায়,জানাইলে উপকৃত হবো?
ওয়ালাইকুমুসসালাম। শরীরের রক্ত কমে গেলেই আবার রক্ত দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাচ্চা একটু ফ্যাকাসে দেখতে হয়। দুর্বলতা চলে আসে। হাতের তালুতে যে লালচে ভাব থাকে সেটা চলে যায়। তবে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য হিমোগ্লোবিন লেভেল চেক করতে হয়। শুরুতে ৩ থেকে ৬ মাস পর পর লাগতে পারে। তবে, এটা একেকজনের জন্য একেক রকম হয়। নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন কম বয়সে করতে পারলেই ভালো। শরীরে বেশি আয়রন জমা হয়ে গেলে ঠিকভাবে কাজ করে না। সবদিক বিবেচনা করে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কখন করতে হবে সেটা ডাক্তাররা নির্ধারণ করেন। আপনি যে সেন্টারগুলোতে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লেন্টেশন হয় সেগুলোতে খোজন নিতে পারেন। বেসরকারিভাবে এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম, আসগর আলী হাসপাতালে হচ্ছে। এছাড়া বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা (পিজি হাসপাতাল)-এ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে। এই সেন্টারগুলোতে গিয়ে খোজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
ফিজিক্যালি আপনার কাছ থেকে উপকার পাওয়ার জন্য আমরা আপনার সাথে কিভাবে সরাসরি যোগাযোগ করব আপনার ঠিকানাটা দিলে বড়ই উপকার হত যদি কিছু মনে না করেন।
আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে কর্মরত আছি। কাছাকাছি থাকলে ডিপার্টমেন্টে দেখা করতে পারেন।
আমার ছেলের ৪ বছর থ্যালাসেমিয়া হয়েছে।আপনার ফোন নাম্বার টা যদি দিতেন আপনার সাথে যোগাযোগ করতাম।
অনলাইনে ফোন নম্বর দেয়ার সুযোগ নাই। আপনি আপনার নিকটবর্তী একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম।
আপনার ফোন নম্বর টা কি পাওয়া যাবে স্যার
??
দুঃখিত, অনলাইনে নম্বর দেয়ার সুযোগ নাই। কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন। অথবা, নিজেদের নিকটবর্তী কোন শিশু বিশেষজ্ঞএর সাথে পরামর্শ করুন।
আমার ছেলের বয়স ১বছর ৭মাস। থ্যালাসেমিয়া বেটা মাইনর। হিমোগ্লোবিন লেবেল ৮-৯. স্থানীয় শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছি। ২/৩ মাস পরপর জ্বর আসছে। ২দিনে জ্বর সেরে আবার ২দিন আবার জ্বর আসছে। যখন জ্বর আসে আধাঘণ্টার মধ্যে ১০৪+ হয়ে যায়। নাপা/এইচ খেলে জ্বর পড়ে যায়। চিকিৎসা ও খাবারের বিষয়ে পরামর্শ চাচ্ছি।
প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ছেলের সমস্যাতে জটিলতা আছে। তাকে একজন শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিশেষজ্ঞকে দেখাতে পারেন। থ্যালাসেমিয়া রোগী কিছু বিশেষ সমস্যায় ভুগে। বিস্তারিত ইভালুয়েশন না করে কিছু বলা কঠিন। খাবারের বিষয়ে আলাদা কিছু নাই। নিরাপদ, স্বাভাবিক খাবার খাবে। লৌহ বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলবে। জ্বরের সাথে খাবারের সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম নাবিলা। আমার বয়সে ২১। আমি একজন গর্ভবতী। আমার ৫ মাস চলছে। আমার ওজন ৫৬, আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। আমার হিমোগ্লোবিন ৮ পয়েন্ট। আমার থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়েছে, সেটা হচ্ছে বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার খাবারের তালিকা কি কি হওয়া উচিত? এ থ্যালাসেমের কারণে কি আমার বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে? সর্বোপরি আমার কি করা উচিত দয়া করে যদি বলতেন!!
ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। স্বাভাবিক অবস্থায় থ্যালাসেমিয়া মাইনর রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। অর্থাৎ থ্যালাসেমিয়া খাদ্য তালিকা পুরোপুরি না মানলেও চলে, শিথিলতা আছে। তবে, গর্ভাবস্থা একটু জটিলতা তৈরি করে। মায়ের শরীরের উপরের অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় (যেহেতু থ্যালাসেমিয়া মাইনরের রোগীর কিছুটা রক্তস্বল্পতা থাকে)। রক্তচাপ বেশি হতে পারে, ডেলিভারির সময় অল্প রক্তপাতে সমস্যা হতে পারে। ফলশ্রুতিতে, বাচ্চার বৃদ্ধিও কিছুটা ব্যহত হতে পারে। বাচ্চার ওজন কম হতে পারে। এবং কম ওজন হওয়ার কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। ফলিক এসিড ৫মিগ্রা করে খেতে থাকলে সমস্যা কম হয়। তবে, একেকজন মায়ের ক্ষেত্রে অবস্থা একেক রকম হতে পারে। ফলোআপে থাকতে হবে।
সারাংশ হলো, ঝুকি আছে তবে খুব বেশি না। ভয়ের কিছু নাই কিন্তু সাবধানতার অনেক কিছু আছে। আপনাকে নিয়মিত একজন গাইনী ও অবসটেট্রিক্স বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে (গর্ভকালীন জটিলতা আগে সনাক্ত করা ও সমাধান করার জন্য) এবং একই সাথে এই সময়টাতে একজন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞকেও দেখানো (হিমোগ্লোবিন, রক্তের আয়রন, খাবার ইত্যাদি সময় সময় পরীক্ষা করে নির্ধারণ করার জন্য)। আর, জন্মের পর একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে বাচ্চার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে যে তার এই সমস্যাটা আছে কিনা। আল্লাহ আপনাকে ও আপনার বাবুকে ভালো রাখুক।
Dear Sir,
Have a nice day.
My wife is Thalassemia patient (disease: Beta thalassemia), Hb lebel always found around 8.5%.
Till no blood transmission to her, doctors advice that no need this time.
Can she continue Iron rich food continue? Please let us know.
Thanks
Thank you for your question. You have not mentioned complete diagnosis. There are different levels of severity in beta thalassemia- major, intermidia, minor. As she does not require blood transfusion, i assume she has beta thalassemia minor or intermidia. This type of patient can eat normal food (including iron containing foods in small amount). But these decisions are made separately for each patient. If serum ferritin level is above normal she would have to avoid iron rich food.
You should consult with a hematologist. He will assess the condition of your wife’s thalassemia and advise accordingly.
আসসালামু আলাইকুম
থেলাসেমিয়া রোগী কি হাঁসের মাংস, বেগুন খেতে পারবে?
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। যে থ্যালাসেমিয়া রোগীরা নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন করেন তারা হাসের মাংস না খেলে ভালো। তবে, বেগুন স্বাভাবিক পরিমানে খেতে পারবেন।
স্যার আমার স্ত্রী ৪ মাসের গর্ভাবস্হায় আছে৷ আমাদের দুইজনের থ্যালাসিমিয়া মাইনর এবং আমার স্ত্রীর হিমোগ্লোবিন ৮.৯ আছে এই ক্ষেত্রে খাবারের কোন তালিকা মানতে হবে কি না? বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কি না?
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। না, আপনার স্ত্রী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবেন। তবে, ৮.৯ হিমোগ্লোবিন তুলনামুলক কম। এতে প্রসবএর সময় কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। আপনাদের নিয়মিত একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি (অর্থাৎ কোন উন্নত সরঞ্জামাদি আছে এমন হাসপাতালে) করানো উচিত – সেটা নরমালই হোক আর সিজারই লাগুক।
আপনাদের ও আপনাদের সন্তানের জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইলো।
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাচ্চার বয়স ৯ মাস, ওর হিমোগ্লোবিন ই বিটা থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়েছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীর যে খাবারে তালিকাটা আছে সেটা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, এক বছরের বাচ্চার উপযোগী যদি কোন খাবারে তালিকা যদি জানাতেন খুব উপকৃত হতাম।
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। নয় মাস বয়সে আপনার বাচ্চার মূল খাবার বুকের দুধ। এর বাইরে ধীরে ধীরে সব খাবারই চালু করতে হবে। সে বেশিরভাগ খাবারই খেতে পারবে। শুধু যে খাবারগুলোতে বেশি আয়রন থাকে সেগুলো বাদ দিবেন। যেমন- গরুর মাংস, খাসীর মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, কচুশাক, লালশাক, খেজুর, বাদাম, চকলেট (ডার্ক চকলেট) ইত্যাদি। এর বাইরে আমরা যে খাবার বাচ্চাদের দেই তার মধ্যে নুডলস (ম্যাগি), সুজি, সেরেলাক, বিভিন্ন ফর্মুলা (সাধারণত আয়রন যোগ করা থাকে) ইত্যাদিতে যথেষ্ট আয়রন থাকে এবং এরিয়ে চললে ভালো হবে।
শরীরে আয়রনের মাত্রা দেখার জন্য আমরা নিয়মিত S. ferritin লেভেল দেখে থাকি। এটার লেভেল যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আয়রনযুক্ত খাবার নিয়ে বেশি পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নাই। হঠাত করে একদিন কিছু খেয়ে ফেললেই যে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে এমন না।
জরুরী হলো ওকে ওর প্রয়োজনীয় খাবারে অভ্যস্ত করে তোলা। একই সাথে সে যেন সব ধরণের পুষ্টি উপাদান পায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। ভালো হবে একজন পেডিয়াট্রিক হেমাটলজিস্ট অনকোলজিস্টএর স্বরনাপন্ন হলে। সেই সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারবে।
আসসালামু আলাইকুম স্যার আমার ছেলের ফেরিটিন আয়রন ৫৯৮০ এখন আমার করনীয় কি? কিভাবে আয়রন কমানো যায় উপায় জানালে উপকৃত হবো।
ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনার বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করে Deferoxamine (DFO) ইঞ্জেকশন দিতে হবে। এর ফলে শরীরে থাকা আয়রন বের হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে নিয়মিত ফেরিটিন পরীক্ষা করে আয়রনএর লেভেল চেক করতে হবে এবং প্রয়োজন মোতাবেক। ইঞ্জেকশন দিতে হবে। কিছু মুখে খাওয়ার ঔষধ আছে। সেগুলোও উপকার করতে পারে। এখন দ্রুত একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ এর শিশু হেমাটোলজী অনকোলজি বিভাগ বা থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
ফেরিটিন আয়রন কত থাকা স্বাভাবিক?আর কখন এই ইনজেকশন দিতে হয়?
১২ থেকে ৩০০ ন্যানোগ্রাম/মিলি। সাধারণত ১০০০ ন্যানোগ্রামের উপরে গেলে iron chelation করতে হয়। এটা অবশ্য বাচ্চার অবস্থার উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।
আসসালমুআলাইকুম।
আপনার reply গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
ডক্টর,আমার ফুপাতো বোনের
বিটা থেলাসেমিয়া ট্রাইট ধরা পড়েছে। ওর খাবারের প্রতি একেবারেই অনীহা।
ডক্টর বলেছে এক মাস পর রক্ত কমে গেলে পরীক্ষা করে রক্ত ভরতে হবে।
এখন স্যার আমার বোনকে কি খাওয়াতে পারবো যাতে রক্ত ভরতে না হয়??ওর মুখে কোনো রুচি নেই স্যার।।
প্লিজ উত্তর দিবেন।
ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনার ফুফাতো বোনের বয়স, হিমোগ্লোবিন ও ফেরিটিন লেভেল জানালে ভালো হতো। থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটে সাধারণত হিমোগ্লোবিন প্রায় স্বাভাবিক ও ফেরিটিনও প্রায় স্বাভাবিক থাকে। এমন হলে খাবারে তেমন রেস্ট্রিকশন থাকে না। আপনার বোন নিয়মিত ফলিক এসিড এবং কিছুদিন পর পর সপ্তাহ দুয়েকের জন্য জিংক সিরাপ খেতে পারে। যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে তাকে ভালো করে বোঝাতে হবে। থ্যালাসেমিয়া বা অন্য দীর্ঘমেয়াদী রোগের কথা প্রথম জানার পর প্রচন্ড মানসিক চাপ তৈরি হয়। বন্ধুবান্ধব, আত্বীয়স্বজনের মধ্যে যারা ঘনিষ্ঠ তারা তাকে বোঝাতে পারে। প্রয়োজনবোধে ডাক্তার বা সাইকোলজিস্টদের সহায়তা নেয়া যায়।
এগুলোর বাইরে তার অন্য শারীরিক সমস্যা থাকলে সেগুলোরও সমাধান করতে হবে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগী নানান ইনফেকশনে ভুগে। সেটার কারণেও রুচি কমে যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ডাক্তারের সাথে এগুলো নিয়ে পরামর্শ করা যায়। উনিই সম্ভবত সুনির্দিষ্ট সমস্যাটা ধরতে ও সমাধান করতে পারবেন।
Good afternoon,
For a patient (thalassemia beta minor) during her second pregnancy ( currently in the first timestamp) what type of diet she should follow?
Generally, beta thalassemia minor does not require dietary restriction. Only avoiding iron rich food like beef, liver, mutton is enough. But pregnancy complicates everything. If serum ferritin level normal, she can continue with normal diet. If she is anemic, may even need iron rich diet or iron supplementation. It is individualized. Best policy would be to consult with her obstetrician.
আসসালমুআলাইকুম।
আমার ছেলের বয়স ২.৭ মাস ওজন ১৩ কেজি ওর বিটা থেলাসেমিয়া ট্রাইট ধরা পড়েছে। অর শারীরিক কনো সমস্যা নেই। শুধু খাবারে অরুচি । এর জন্য ওকে কি খাওয়াতে পারি।
ধনবাদ।
ওলাইকুমুসসালাম।
আপনার বাচ্চার ওজন ২ বছর ৭ মাস বোঝাচ্ছেন ধরে নিচ্ছি। এই বয়সের একটি ছেলের আদর্শ ওজন প্রায় সাড়ে ১৩ কেজির মত হওয়ার কথা। আপনার ছেলের ওজন সে হিসেবে প্রায় ঠিকই আছে। বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট হওয়ায় তার খাবারদাবারে তেমন কোন রেস্ট্রিকশন নাই। কোন অসুখে (যেমন ভাইরাল ফিভার) সাময়িকভাবে রুচি কমে যেতে পারে। সেটা আবার নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। আলাদা কোন ঔষধ বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। থ্যালাসেমিয়া রোগীর জিংক ও ফলিক এসিডের চাহিদা তুলনামুলকভাবে বেশি থাকে। এগুলোর অভাবেও রুচি কমে যেতে পারে। আপনি প্রাথমিক ভাবে এগুলো খাইয়ে দেখতে পারেন। যদি দীর্ঘদিন এই অবস্থা বিরাজ করে তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
আমার বয়স ৪৬। আমার থ্যালাসিমিয়া ট্রেইট। ডাক্তারের পরামর্শে ফলিসন খাই। ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসার। ডায়াবেটিস ও প্রেসার কন্ট্রোলে আছে। প্রেসারের জন্য আগে প্রোসান ৫০ খেতাম। করোনার টিকা নেয়ার পর প্রেসার নরমাল আছে। তাই কোন ঔষধ সেবন করিনা। আমার চামড়ার নিচে মাঝে মাঝে নীল বা বেগুনী রক্ত জমাট বাঁধে। তখন প্লাটিলেট কমে যায়। হিমুগ্লোবিন ১০ এর নিচে থাকে। কখনও ৮/৯ থাকে। আমার এখন করণীয় কি? আমি কি কোন ঝুকিতে আছি?
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
চামড়ার নিচে রক্ত জমে যাওয়া এবং প্লেটলেট কমে যাওয়া থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট-এর লক্ষন নয়। আপনি একজন হেমাটোলজিস্টএর সাথে পরামর্শ করুণ।
ওয়ালাইকুমুসসালাম। এক ব্যাগ হলেই হওয়ার কথা। আপনার ভাইয়ের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুণ। এই রোগ সম্পুর্ণ প্রতিকার করতে হলে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করতে হবে। এভারকেয়ার হাসপাতাল, আজগর আলী হাসপাতালে এই সার্ভিস দেয়া শুরু হয়েছে। বিস্তারিত সেখানে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত আমার প্রবন্ধগুলো পড়তে পারেন
https://healthnetbd.com/thalassemia-treatment/
https://healthnetbd.com/thalassemia-food-splenectomy/
https://healthnetbd.com/thalassemia-prevention/
আচ্ছালামুআলাইকুম, স্যার আমার স্বামী বয়স ৩৬, তাঁর বেটা থেলাসেমিয়া ধরা পড়ছে, এবং আমার বড় ছেলে বয়স ৩.৫ বছর।ওরও বেটা থেলাসেমিয়া ট্রেট ধরা পড়ছে।আমার ছেলের রোগ নির্ণয় হওয়ার পর আমার স্বামীর টেস্ট করানো হয়েছে। আমরা মোটামুটি ১০-১২ দিন হলো জানতে পারলাম। আমার(৩২) এবং ছোট ছেলের ১ বছর, এখনো টেস্ট করিনি। আমাদের কি করা উচিৎ? এখন ওদের হিমোগ্লোবিন ১০এর মধ্যে আছে।
ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনার ও আপনার ছোট ছেলের পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত। বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটে সাধারণত খুব বেশি জটিলতা হয় না। মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। তবে, নিয়মিত বিরতিতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রক্তের পরিমাণ ও আয়রনের পরিমানটা চেক করিয়ে নিতে হবে। যদি হিমোগ্লোবিন ভালো ও ফেরিটিন কম থাকে তাহলে সমস্যা নাই।
বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী পরবর্তী প্রজন্মকে এই রোগের হাত থেকে বাচানোর চেষ্টা করা। বিয়ের সময় মেয়েদের থ্যালাসেমিয়া নাই এটা নিশ্চিত হয়ে নেয়া জরুরী। আপনার ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখতে হবে। যদি পাত্রীর থ্যালাসেমিয়া না থাকে তাহলে তাদের সন্তানদের বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ২৫% মাত্র। আর, বিটা থ্যালাসেমিয়া ম্যাজর হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
স্যার আমার বয়স ২৮বছর , আমার কিছু দিন আগেই থ্যালাসেমিয়া দেখা দিয়েছে।ডাক্তার আমাকে ফলিসন ৫ এমজি সাজেস্ট করেছেন আমার লিভার এর সমস্যা ও আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে খাবার খাওয়া নিয়ে, আমি কি গোল আলু,ওল,শসা,সয়াবিন তেল, ছোট মাছ, খাবারে অল্প পরিমাণ জিরাও ধনিয়া গুড়া খেতে পারবো?
পারবেন। বেশি আয়রন আছে এমন খাবার বাদে সবই মোটামুটি সবই খেতে পারবেন।
ভাই ফলিসন ৫ এমজি একদিনে কয়টা খাওয়া যাবে?
থ্যালাসেমিয়া রোগী হলে প্রতিদিন ১ টা করে। সাধারণ মানুষের জন্য একটা ট্যাবলেটের চার ভাগের এক ভাগ হলেই যথেষ্ট (১ মিগ্রা)।
আসসালামু আলাইকুম স্যার আমিও একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী আমার বছর ২০ বছর এখন এখন আমার পেটের স্পিন অনেকটাই বড় হয়েছে এখন কি পেটের স্পিন কাটানো যাবে যদি কাটানো যায় কোথায় কাটাবো বললে খুব উপকৃত হব
ওয়ালাইকুমুসসালাম। স্প্লিন কাটানোর জন্য অপারেশন প্রায় সব বড় মেডিকেল কলেজগুলোতে হয়। আপনার নিকটস্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। অথবা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রথমে সার্জারী বহির্বিভাগে টিকেট কেটে দেখা করবেন। সাথে সকল কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। তারপর তারাই বলবে কি করতে হবে।
সরকারী প্রতিষ্ঠানে সিরিয়াল লম্বা থাকে। সুতরাং অনেক দেরি হয়। দ্রুত করাতে চাইলে অভিজ্ঞ সার্জনের মাধ্যমে প্রাইভেট হাসপাতালেও করাতে পারবেন।
আসসামুলাকুম স্যার আমার ছেলের থ্যালাসেমিয়া E trait ধরা পরেছে,, আমি একজন শিশু ডাক্তার দেখাইছি ওনি ফলিক ট্যাবলেটের সাথে আইরনের ট্যাবলেট দিছে,, ৩ মাস খাওয়ানোর জন্য এখন আপনার কাছে পরামর্শ চাচ্ছি আইরন ট্যাবলেট কি ও খেতে পারবে,, আর ওর কি কি খাদ্য খেলে ভালো হবে তার একটা তালিকা চাই আপনার কাছে,,,,
ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনার বাচ্চার ডায়াগনোসিসটি পরিষ্কার না। ধরে নিচ্ছি আপনি Hemoglobin E Trait এর কথা বলতে চেয়েছেন। এই রোগের প্রকাশ খুবই মৃদু হয়ে থাকে। সচরাচর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফলিক এসিড ছাড়া অন্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। তবে, কখনো হিমোগ্লোবিন লেভেল কম থাকলে এবং একই সাথে ফেরিটিন লেভেল কম থাকলে সাথে আয়রনও প্রয়োজন হতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন।
আমার প্রবন্ধ খাদ্য উপাদানগুলো দেয়া আছে। এর থেকে অধিক আয়রন আছে এমন খাবার বাদে সব খাবারই আপনার শিশু খেতে পারবে। অধিক আয়রন আছে এমন খাবারও সে পরিমিত পরিমানে খেতে পারবে। তবে, শরীরে আয়রনের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
হেটারুজেনাস বেটা থেলাসেমিয়ার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে দয়া করে বলবেন।
হেটেরোজাইগাস থ্যালাসেমিয়া আসলে মৃদু হয়ে থাকে। যদি হিমোগ্লোবিন প্রায় স্বাভাবিক থাকে এবং রক্তে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে (S. ferritin) তাহলে সকল স্বাভাবিক খাবার খাওয়া যাবে। বেশি আয়রন থাকে এমন খাবার (গরু/খাসির গোস্ত, কলিজা ইত্যাদি) পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
মাঝে মাঝে শুধু হিমোগ্লোবিন ও ফেরিটিন পরীক্ষা করে নিলেই হবে। স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে কিছুই করতে হবে না। সুনির্দিষ্টভাবে এবং বিস্তারিত আপনার ডাক্তার বলতে পারবেন।
আসসালামু আলাইকুম স্যার। থ্যালাসেমিয়া রোগী বাদাম এবং জাফরান খেতে পারবে যদি শরীরে আয়রন বেশি থাকে?
ওয়ালাইকুমুসসালাম। জাফরান ও বাদামে আয়রনের পরিমান বেশি। তবে, থ্যালাসেমিয়া রোগী অল্প পরিমাণে খেলে অসুবিধা হবে না। যদিও শরীরে আয়রন বেশি থাকলে পূর্বে সেটার চিকিৎসা করে নিবে হবে।
আমার বাচ্চার E beta থ্যালাসেমিয়া ওর বয়স ২ বছর ৮ মাস ওর আয়রন অনেক বেশি ১ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে আয়রন কমানো জন্য কি খাবার দিতে পারি
খাবার দিয়ে আয়রন কমানো যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ডেসফেরিওক্সামিন ইত্যাদি দিয়ে কমাতে হবে।
স্যার আমার বয়স ৩৫ বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনরে আক্রান্ত
আমার দুটি প্রশ্ন ছিলঃ
১/স্যার প্লিহা সার্জারি ছাড়া ছোট করার কোন ব্যবস্থা কি আছে? প্লীহা অপারেশন করলেও পরে নাকি আবার বাড়ে তাই সার্জারি করতে চাচ্ছি না।
২/ফলিসন ৫ এমজি দিনে কয়টা খেলে ভাল হবে। ডাক্তার সকালে ১ টা খেতে পরামর্শ দিছে, ২ টা খেলে কি কোন সমস্যা হবে।
একবার বড় হয়ে গেলে সাধারণত প্লীহা আর ছোট হয় না। সার্জারি ছাড়াও কিছু চিকিৎসা আছে। ফলাফল নির্ভরযোগ্য না। আপনি আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
স্যার আমার ছেলের বয়স ২ বছর ৭ মাস। ওর এইচবি ই বিটা থ্যালাসেমিয়া। ওর বয়স ১বছর যখন তখন এই রোগ ধরা পড়ে। তখন ওর হিমোগ্লোবিন ছিল ৯.৫০। মাঝ খানে কিছুদিন আগে হঠাৎ করে হিমোগ্লোবিন কমে ৮.১0 ছিল। পরে ডাক্তারের পরামর্শে কিছু মেডিসিন দেয়। ওগুলো খেয়ে আবার ওর হিমোগ্লোবিন ৯.৩ হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোন ব্লাড ট্রান্সফিউশন করিনি। ওর প্লিহা, লিভার, জন্ডিস, সব ঠিক আছে। শুধু এনেমিয়া আছে। স্যার ওর বয়স বাড়ার সাথে সাথে কি প্লিহা বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি? যদি প্লিহা হয় তা রোধ করার জন্য আমাদের করণীয় কি বলবেন।
বয়সের সাথে সাথে প্লীহা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, সামান্য। নিয়মিত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আপনার শিশু হেমাটোলজী অনকোলজী বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ রাখুন।