সব দিক থেকে সহায়তা না পেলে নতুন মায়েদের জন্য বুকের দুধ খাওয়ানো কঠিন। বিশেষ করে প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো ক্ষেত্রে।
শিশুর জন্য বুকের দুধের উপকারিতাঃ
১। শুধুমাত্র জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে নবজাতকের মৃত্যু হার ৩১% কমে। ২। মায়ের দুধে আছে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন-এ, বি-১২, ভিটামিন-ই, জিংক এবং আই জি-এ (Ig A) নামক যা রোগে প্রতিরোধ করে। ৩। শালদুধ রোগ প্রতিরোধের সক্রিয় কোষ, এন্টিবডি ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি শিশুর প্রথম টিকা হিসাবে কাজ করে। শালদুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও বিভিন্ন সংক্রামক থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে। ৪। শিশুর পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শরীর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য সকল উপাদান শুধুমাত্র মায়ের দুধেই থাকে ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ সঠিক হয়, শিশু বুদ্ধিমান হয় এবং সুস্থ থাকে।মায়ের জন্য বুকের দুধের উপকারিতাঃ
১। বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কোন প্রকার প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না। তৈরি করারও প্রয়োজন নাই। এজন্য মায়ের কষ্ট কম হয়। বিশেষ করে প্রথম ৬ মাসে তো কিছুই করার প্রয়োজন হয় না। ২। তাড়াতাড়ি শালদুধ খাওয়ালে মায়ের গর্ভভুল দ্রুত পড়তে সাহায্য করে এতে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। ৩। শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ালে ঐ সময়ে মায়ের গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং পরবর্তীতে মায়ের স্তন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।পরিবারের জন্য বুকের দুধের উপকারিতাঃ
১। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে ফর্মুলা বা অন্য খাবারের পিছনে খরচ কমে যায়। এতে আর্থিকভাবে পরিবার লাভবান হয়। ২। শিশু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার কারণে কম অসুস্থ হয়। চিকিৎসার জন্যও খরচ কম হয়। বুকের দুধ শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুকের দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে পড়ুন শিশুকে মায়ের দুধ কিভাবে খাওয়াবেন?ডাঃ ফাহিম আহমাদ ২০০৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী দুই বছরের অধিক সময় গ্রামে কাজ করার পর শিশু রোগ সম্পর্কে উচ্চতর পড়াশুনা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এমডি(শিশু) শেষ করার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এয় জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক্স) হিসেবে কর্মরত আছেন।