স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। দাঁত হলো শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংগ। দাঁত ভাল থাকলে মন ভাল থাকে,মন ভাল থাকলে শরীর ভাল থাকে। দাঁত যদি ভাল না থাকে তাহলে খাবারের প্রতি অনিহা জন্মে। খাবার ঠিক মত গ্রহন না করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।তাই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। আর বাচ্চাদের দাঁতের ব্যাপারে বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া দরকার।
দাঁত ভালো রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরীঃ
১। মিষ্টি জাতীয় যেকোনো খাবার দাঁতের জন্য খারাপ। চকলেট, চকলেটবার, চুইংগাম, আইসক্রিম, বিস্কুট ইত্যাদি। এসব খাবার খাওয়ার পর মুখের ভিতর ভাল ভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
২। প্রতি ছয় মাস পরপর দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩। প্রতিদিন দুইবার দাঁত ব্রাশ করা- সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। প্রতিবার কমপক্ষে ৩ মিনিট ব্রাশ করা উচিত। দুইবার সম্ভব না হলে কমপক্ষে একবার এবং অবশ্যই রাতের বেলা ঘুমানোর আগে।
৪। ছাই দিয়ে দাঁত মাজবেন না। এতে দাঁতের মাড়ি এবং দাঁত ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৫। পান খাওয়া এবং গুল ব্যবহার করা পরিহার করুন। এসবের ব্যবহার অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুকি ছাড়াও, দাঁতের ও মুখের ভিতরের চামড়ার ক্ষতি করে।
শিশুদের দাঁত
শিশুরা নিজেদের দাঁতের যত্ন নিতে পারে না। এজন্য বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা নকল করতে পছন্দ করে। কাজেই, বড়দের দেখে তারা শিখে। দাঁতের যত্নের বিষয়টিও ভিন্ন নয়। বড়রা যদি দাঁতের যত্নে মনোযোগী হয় তবে বাচ্চাদেরও এই অভ্যাস গড়ে উঠে। শিশুর দাঁতের যত্নে বিশেষভাবে যা যা করা উচিতঃ
১। নিয়মিত দুবার ব্রাশ করা উচিত। অবস্যই নরম ফাঁইবারের হতে হবে।
২। যেকোন খাবার খাওয়ার পরে মুখের ভিতর ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
৩। নিয়মিত ঘরেই দাঁত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। যদি সমস্যা মনে হয় তবে দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত।
৩। প্রতি ছয় মাস পরপর দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁতের অনেক সমস্যা থাকতে পারে। তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হলোঃ
১। দাঁত ঠিক সময়ে উঠলো কিনা।
২। দাঁতে ব্যাথা আছে কিনা,যার দরুন বাচ্চা খেতে পারছে না।
৩। মাড়ি ফুলে গেছে কিনা। দুর্বল মাড়ি দাঁত ধরে রাখতে পারে না। অনেক সময় রক্তপাতও হতে পারে।
৪। দাঁতের মধ্যে গর্ত আছে কিনা। যাকে চিকিৎসকের ভাষায় ক্যারিজ বলে।
এই সমস্যা থাকলে অভিজ্ঞ দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা, কোন প্রশ্ন থাকলে করুন। প্রশ্ন নির্দিষ্ট এবং এই বিষয়ের উপর করুন।
ডা. আবুল কালাম মিয়া ২০০৫ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারী পাশ করেছেন। এক বছর অর্থোডন্টিকসে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন। দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডা. আবুল কালাম মিয়া ডেন্টাল ইমপ্লান্ট বিষয়ে ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।