স্বাস্থ্যকর্মীদের কেন অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন সেটা বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে এই ভাইরাস ছড়ায় কিভাবে?
করোনা ভাইরাস মুলত স্পর্শ, রেসপিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়।
১। একজন মানুষ যখন ভাইরাস আছে এমন কোন বস্তু হাতদিয়ে স্পর্শ করে তখন ভাইরাস তার হাতে চলে আসে। পরবর্তীতে যখন সে চোখ, নাক, বা মুখ স্পর্শ করে তখন এই ভাইরাস শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।
২। করোনা আক্রান্ত রোগী যখন হাচি/কাশি দেয় তখন বুক থেকে বের হয়ে বাতাসে ক্ষুদ্র কণার মত করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী ৩-৪ ঘন্টা ঐ বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রকণা যেই শ্বাসের সাথে নিবে সেই আক্রান্ত হয়ে পড়বে। অন্যদিকে যখন এই ক্ষুদ্রকণাগুলো নিচে পড়বে তখন আশে পাশে থাকা টেবিল, চেয়ার, বইপুস্তক ইত্যাদির উপর পড়ে থাকবে। কেউ হাত দিয়ে ধরলেই তার হাতে চলে আসবে।
যদি কোন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন তবে তার লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগবে ৫-১৪ দিন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঐ সময়েও সে এই ভাইরাস ছড়াতে থাকবে। এজন্য, চিকিৎসা কর্মীদের বলা হচ্ছে সুপার স্প্রেডার। একজনই অনেক অনেক লোকের কাছে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আরো সমস্যা হল একজন চিকিৎসক রোগ ছড়াবেন অসুস্থ মানুষের মাঝে যারা এমনিতেই ঝুকির মধ্যে থাকে । ফলে , মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।
ডাঃ ফাহিম আহমাদ ২০০৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী দুই বছরের অধিক সময় গ্রামে কাজ করার পর শিশু রোগ সম্পর্কে উচ্চতর পড়াশুনা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এমডি(শিশু) শেষ করার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এয় জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক্স) হিসেবে কর্মরত আছেন।